বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনার বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয়পক্ষের তিনজন করে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত শাহাব উদ্দিন (সারপার), আব্দুল হাসিব (পাথারীপাড়া), আব্দুল হান্নান ও আব্দুস শুক্কর (সারপার), রুহুল আমিন ও মিজানুর রহমানসহ আহতদের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়- দীর্ঘদিন থেকে সারপার বাজারে এ জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দখল পাল্টা দখল চলে আসছে। এনিয়ে বিগত সময়েও উভয়পক্ষ বেশ কয়েকবার মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিলো। আজ এরই জের ধরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান, ওসি শাহজালাল মুন্সী ও মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের কটই এলাকার বিশিষ্টজনরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে সহযোগিতা করছেন।বিজিবি’র নয়াগ্রাম বিওপি সুবেদার রেজাউলের নেতৃত্বে বিজিবি জোয়ানরা সংঘর্ষস্থলে এসে প্রথমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি শাহজালাল মুন্সী বলেন, সংঘর্ষে কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হলে পুলিশ তা উদ্ধার করবে। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ এখানে দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান বলেন, আমরা সেখানে যাওয়ার পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এলাকার সাধারণ মানুষের সগযোগিতায় এবং পুলিশের বলিষ্ট ভূমিকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাটি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয় পক্ষের তিনজন করে ছয়জনকে উপজেলায় আনা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সামাজিকভাবে এ ঘটনার নিষ্পত্তি করার প্রক্রিয়া চলছে।